-এম সোলায়মান ফরিদ
একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের প্রধান কাজ হল সমাজে প্রচলিত কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী সকল অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ করে শরীয়াহ্ ও সুমাহ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে জনগণের ব্যাকবনটিজ রাজনীতির আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং নীতি আদর্শিকভাবে উপর থেকে অধিকার দান ও জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া।
কোরআনের সুন্নাহর পূর্ণাঙ্গ অনুবর্তন তথা সামগ্রিকভাবে ইসলাম একটি পরিপূর্ণ কল্যাণময় জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষের ভাই ভাই প্রতিপন্ন করেছেন এবং কোরআন-সুন্নাহ নির্ধারিত অনুপালন ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রের পরিচালনার জন্য একটি নির্মল আলোকিত পথ। ইসলাম শুরু থেকেই মানব উদ্দীপ্ত আলোকিত মানবমি দুনিয়ার প্রেমের মাধ্যমে শুরু করেছেন এবং বিশ্ব মানবজাতির কল্যাণে ইসলাম আল্লাহর ওয়হিআব্দানের মাধ্যমে যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা কেয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তনীয়।
ইসলাম যেমন কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক নির্দেশনা দিয়েছে তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্যও দিয়েছে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নীতিমালা। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনও মানুষের চিন্তা বা গবেষণার ফল নয়; বরং তা মানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্য স্বয়ং আল্লাহর প্রদত্ত নির্দেশনা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে তা পৃথিবীতে মানুষের কাছে বাস্তবায়িত করা হয়েছে।
নিশ্চিতভাবে প্রতিটি আন্দোলনের সফলতার জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রদের ভূমিকা ও সহযোগিতা অপরিসীম বলে মনে হয়। “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা” নামধার (৩ জুন ১৯৮৮ইং তারিখ) সংগঠিত ছিল “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা” ছাত্র-উৎসর্গ এবং সেবক সমাজকে সেবা করার লক্ষ্যে একটি আদর্শ সংগঠনের প্রত্যাশায় স্থির। “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা” প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল। বিশ্ব স্বীকৃত কর্মকাণ্ড অনুযায়ী ১৯৯১ ইংরেজী সালে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ইসলামী যুবকরা’র কার্যক্রম যুক্তিত করলে হয়েছিল।
১৯৯৬ ইংরেজী সালের ২১ ডিসেম্বর এক ঐতিহাসিক দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে জাতীয় সংগঠন “বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট” ২০/১১/১৯৯৮ ইংরেজীতে দেশের আইনের সাথে নিবন্ধন লাভ করেছিল। সেবক আদর্শ ও সেবক কর্মকাণ্ড অনুযায়ী নবীন সমাজ ও সমৃদ্ধশালী পরিপূর্ণতার দেশ আগমনে, ঐ পার্টির ইশতেহারের নেতৃত্বে “বাংলাদেশ ইসলামী যুবকরা” বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের “সমৃদ্ধশালী সমাজসেবা” ধ্যানধারার আলোকে এক ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সমকালীন নানা সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করে চলেছে।
এভাবে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-এর বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্যেক মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হয়, যুবসমাজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাতে হবে আমাদেরকে। আল্লাহর জমিনে তাঁর প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখার জন্য আল্লাহর শক্তিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে যুবকদের সংহত চলতে হবে অবিরাম। জাতি সাপের মতো সরল প্রান্তে বেড়ে থাকুক ধীরে নিবারণ সহ্য করতে হবে দূরদর্শীভাবে, আর অন্ধকার পথ পরিহার করে নেতৃত্বে সামনে প্রতিভা করতে হবে দেশকে। মন্দের বিরুদ্ধে পরিশুদ্ধ হয়ে ফাহিশা মহিশা লিপ্ত হতে হবে বৈত্যান্ত ও দোয়ায় মানিয়া। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রক্ষমতা অলঙ্কৃত হবে ইসলামী ফ্রন্টের যুব গঠনের বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা।
প্রিয় বন্ধুদের, খুবই বেদনাদায়ক দাবি হয়ে গেছে তেলের মতো আবিষ্কারই আমিত্বভাইয়ে অবস্থায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রনীতিতে বৈষম্যের পরিমান. মানুষের দুর্দিনে বিপর্যস্ত অবস্থায় দেশবাসীর আশাহত করা। আমাদের ছায়াধারার সারির মূল দুঃখটা যতই হোক না কেন ভালবাসায় দেশবাসীর অপালিক করা। আল্লাহর পথের মহানির্দেশনা মেনে চলাই একজন মুসলিমের সবচেয়ে বড় অর্জন। আল্লাহর পথে তাদারকের মহানুভবতা উন্নত মানে আল্লাহর আদায়গারে অলোকের উদ্ভাসন তোকল গালিবকে পথে সময় পরিশীলিত পথে, সময় ঠিক করল সকল জনতার মাঝে। অলৌকিক জ্ঞানের কাজে লাগানার জন্য অনন্যদর্শী ও শ্রেষ্ঠ পরিশুদ্ধতার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদাতে মগ্ন হতে হবে। সময়ের দাবির প্রকল্পে প্রত্যেক মুসলিম নৈতিকতার নবী থেকে উদ্গ্রীব থাকূ পবিত্রতার পথে সংযুক্ত থাক।
এম এ মান্নান সম্পাদকের একান্তর যখন যাওয়া বার্থতার কর্মক্ষেত্র সক্রিয় কর্মশীলতায় বাধ্য রখা। পৃথিবীতে খাঁটি জীবন পথ যা আলোকিত জ্ঞানের সাহায্যে মুহূর্তেক কাজে সফলতার দিকনির্দেশ তারা পেয়ে মানবতাকে পৃথিবীতে আলো দিবে। এজন্য বর্ণবাদী সেলিম (রা.) তাদের ব্যাবহারের সায়াহ্নে বালাদিয়াকে মাধ্যমে একজন ব্যক্তিরও কাজই থাকুক দূরদর্শীতার।
আজ কী হল মুসলমানদের? সভ্যত মুসলমানদের কোন শক্ত জাতি মুসলমানদের জীবন থেকেও ভুলেই দিয়েছে যে, একদল নিষ্ঠিক, বেদউইন, মকতাছি, হতদরিদ্র আরব মুসলমানদের গৌরবময় যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামীকে পৃথিবীর কোননা কোননা ছুঁয়ে দিয়েছে। সেই শক্ত আজকে আমাদের শিশুদের দিয়ে মুসলমান মানেই মাথায় টুপী-পাতিল, শরীরে ঝোলা-পাঞ্জাবী এবং হাতে তসবিহ শুধুই এটাইকে নামকুস ইসলাম।
এই বিজয়মণ্ডিত যুব সমাজের চিরায় শক্তিদের জীবন থেকে হারিয়ে ফেলায় কারণে আজকে মুসলমানদের পৃথিবীর সর্বত্র অপমানিত, লাঞ্ছিত, পরাধীন জনে আপয়াসে ভোগান্তিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
অথচ একটু সময় আধিপত্য বিচ্ছুরকারী পারস্য সাম্রাজ্য এবং রোমান সাম্রাজ্য পৃথিবীতে যখন দাপটের সহিত রাজত্ব করিয়েছিল তখন তারা কল্পনাও করতে না পারবে ভূখণ্ডে মুসলমান নামে একটি জাতি আছে, যারা ওদের সাথে যুদ্ধ করবে। কিন্তু শতদিন সেই আরবদের অহায়াব, স্বল্পশক্ত, ঘরহীন, আধিপত্য কোন সময় বাদ ছাড়া অল্পসংখ্য মুসলমান নিয়ে সেই বিশাল রোমান-সাজ্জিত সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রীতির পারস্য সাম্রাজ্য এবং রোমান সাম্রাজ্যকে পরাজিত করে দিয়েছে ইসলামের পতাকা উচ্চিত করেছিল।
যেহেতু মুসলমানরা যা পেয়েছে, যেখানেই জুনদ–শিবির, অন্যান্য–অধিকার, অনশীল–বিশ্ববাল বৈশিষ্ট্য দূর করে ঐক্যবদ্ধ করেই শান্তিপূর্ণ স্থাপনার পরিবেশ।
সেদিন তাদের নিপাট প্রিয় নেতা (দঃ) ছিল যা হচ্ছেন আমাদের প্রিয় নবী (দঃ) এর প্রতিটা নির্দেশ এবং মসৃণ তাদের হৃদয়ে ছিল না কোন অহংকার, গৌরব, লোক-লালামা ইত্যাদি। আমারা সেই ঐতিহ্যে এবং চেতনায় হারিয়ে ফেলেছি কোনক একদম একেবারে আমাদেরই অবহেলা।
সেদিন বায়যশে কুরআন শিক্ষা করার বায় সালানিয়হ আইয়ুবী (রহঃ) বলেছিলেন, মুসলমানদেরকে পৃথিবীর কোনদিক পাজিটিভ করতে হবেনা। মুসলমানদেরকে ছত্রাধিক্য বাড়ানোর কোন দরকার নেই— (১) একত্ববাদ এবং (২) আমল, (৩) নারী লজ্জা।
আমার বন্ধু সহপাঠী শহিদ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরী (রহ.) ছিলেন একনিষ্ঠ তর্কক ইসলামীক কল্যান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নি:স্বার্থ প্রাণ একনিষ্ঠ সংগঠক।
সে ১৯৯২ সালে ১ জানুয়ারি পিরোজপুর চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতামহ মসুরদ মাদ্বি বিআ তো আল- রহিমা বেগমের দুই সন্তানের বড় ছিলেন। তার বড় বোন কুলসুম বেগম একজন গৃহিণী। রইস উদ্দিনের বাড়ী উপাজ্ঞাপাড়া। বাবা বাবার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব। আমার ৫ বছর বয়েসে পিতানোড় বাড়ান। একমাত্র বোন কুলসুম মারা ২ বছর বয়েসে।
দুই সন্তানের নিয়ে কূলু পাড়াতে বিধবা রইস বেগম। সংসার চলাতে গিয়ে নানান কর্মজীবনের ঝাড়ে। ১০ পিতামার এক কন্যার রেঁজেন্ড হাফিজিয়া মুজিয়া উদ্দিন মাদ্রাসার পাশে থাকতেন।
রইসের সাধারণ একটি পরিবার। পাড়াপড়শির খুবই কাছে।
দুই বিভন্না কলম পাড়াতে আহল (মামি কালম রও কল্প লিখা হতো সহপাঠী।
এতেপা মামার বিনে কল্প কল্প না। মেসে বিবর হেলেন পাড়া-পড়শীদের আর সরকারী বররের বোঝা সবচেয়ে বিধবা রইসা বেগমের কাঁধে।
সহপাঠী জীবনে সর্বকালের শহিদ রইস উদ্দিন কাদেরী খুবই অসহায় পরিবার ছিল।
মেসে রইস দেললে বাচেঁতে অন্য দিকে চাওয়ার এবং মেসে গোসল–নলকূপের ব্রেক দিয়ে পাড়ার ও মানুষের কাছ থেকে সহপাঠীদের জন্য মাথা গোসল ঠাই্র করতে মহৎমাখির পকেটে।
আশেপাশে দুই রুম ভর তূলনের গাঁজোরা।
২০১৫ সালে রেলওয়ে বিবর হয়ে ১৬৪ কল্পে একমাত্র রেলওয়ে ঘর আলো করে বলা সহপাঠী ইলম হয়।
মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরী (রহ.) ঢাকা শাহজালালপুরু যুগমেছো হাফিজিয়া মুজিয়া আলিম বারাদার মাদ্রাসার হতে হাফিজ, আলিমা কাদেরী তাজ্জবের কাগিল আলিমা হতে আলিম, কোন সরকারী আলিমা মাদ্রাসার হতে হাফিজ ও আলিমা পরম করুন।