বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা একটি আদর্শবাদী যুবসংগঠন, যার লক্ষ্য মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী একটি সচেতন প্রজন্ম গড়ে তোলা।
আমাদের লক্ষ্য হলো ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী, সচেতন ও দেশপ্রেমিক যুবসমাজ গড়ে তোলা, যারা সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার যিনি, যিনি সমস্ত জাহানের রব, সর্বশক্তিমান শ্রষ্টা ও একক নিয়ন্তা। তিনি অভিজ্ঞান, অমুখতাশী, মার্কাৎ। তিনি সৃষ্টির কল্যাণের জন্য হানিফুকূল সরকার সকলকিছু যথাযথ ব্যবস্থাপনায়কারী। তিনি ইবাদাতে একজনই উপযুক্ত, তাঁর আদেশানুযায়ী নির্দেশ পালনে রতেছে ইহ ও পরকালীন মাধ্যমে।
অতঃপর সালাত ও সালাম আল্লাহ তা‘আলার হাবিব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি দরবারে, যিনি সমস্ত জাহানের জন্য রহমত হিসেবে শ্রেষ্ঠ, যিনি আল্লাহ তা‘আলার প্রধান প্রতিনিধি, নবী ও রাসূলুকুল সরদার, সর্বশেষ নবী; যিনি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
তারই প্রবর্তিত ও প্রতিষ্ঠিত দ্বীন-ই ইসলামকে আল্লাহ তা‘আলা “পূর্ণাঙ্গ দ্বীন” ও তাঁর একমাত্র মনোনীত দ্বীন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই বিশ্ববাসীর কোন কষ্ট নেই কি রেখে অন্য যেকোনো রূপে বিশ্বাসের আবাস নেই। শোধ আল্লাহ তা‘আলাই এ কোরআন, দ্বীন ও দ্বীনের প্রকৃত বিধানের অনুষঙ্গ রক্ষণ বিষয়ক নিজের বান্দারদের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন।
নিশ্চিতভাবে প্রতিটি আন্দোলনের সফলতার জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রদের ভূমিকা ও সহযোগিতা অপরিসীম বলে মনে হয়। “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা” নামধার (৩ জুন ১৯৮৮ইং তারিখ) সংগঠিত ছিল “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা” ছাত্র-উৎসর্গ এবং সেবক সমাজকে সেবা করার লক্ষ্যে একটি আদর্শ সংগঠনের প্রত্যাশায় স্থির। “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা” প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল। বিশ্ব স্বীকৃত কর্মকাণ্ড অনুযায়ী ১৯৯১ ইংরেজী সালে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ইসলামী যুবকরা’র কার্যক্রম যুক্তিত করলে হয়েছিল।
১৯৯৬ ইংরেজী সালের ২১ ডিসেম্বর এক ঐতিহাসিক দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে জাতীয় সংগঠন “বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট” ২০/১১/১৯৯৮ ইংরেজীতে দেশের আইনের সাথে নিবন্ধন লাভ করেছিল। সেবক আদর্শ ও সেবক কর্মকাণ্ড অনুযায়ী নবীন সমাজ ও সমৃদ্ধশালী পরিপূর্ণতার দেশ আগমনে, ঐ পার্টির ইশতেহারের নেতৃত্বে “বাংলাদেশ ইসলামী যুবকরা” বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের “সমৃদ্ধশালী সমাজসেবা” ধ্যানধারার আলোকে এক ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সমকালীন নানা সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করে চলেছে।
এভাবে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-এর বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এ সংগঠনের নাম হবে (বাংলায়) ‘বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা’ সংক্ষেপে ‘বি,আই,জে,এস’।(ইংরেজীতে) BANGLADESH ISLAMI JUBOSENA সংক্ষেপে– BIJS।
এ সংগঠনের প্রতীক তার উৎঘটন মূল দলের প্রতীক মোতাবাতিই হবে।
এ সংগঠনের সকল নেতাকর্মী মোতাবাতির ন্যায় সমাজ ও দেশ থেকে যাবতীয় অন্ধকার দূরীভূত করে আদর্শের আলো বিকিরণের নিমিত্তে, মূল দলের সাথে একাত্ম হয়ে কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করবে।
সুন্নী মতাদর্শভিত্তিক ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা
সমাজ ও রাষ্ট্রকে এমন কাঠামোয় গড়ে তোলা, যা সুন্নী ইসলামী নীতিমালা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত-এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী মানবজীবনকে পরিচালিত করা এবং সেই আদর্শকে সামাজিক নিয়ম ও আচরণে বাস্তবায়ন করা।






